,

নবজাতকের সুরক্ষায় যা জরুরি

সময় ডেস্ক : নবজাতকের প্রথম চেকআপের সময় ওজন, দৈর্ঘ্য ও মাথার আকার স্বাভাবিক আছে কি না এবং তার যত্নের বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে হবে। হাসপাতালে ডেলিভারির পর শিশুর খাবার, প্রস্রাব-পায়খানা, ঘুম, বেড়ে ওঠা ও টিকা দেওয়া সম্পর্কে যা জানতে হবে :
খাবার : প্রি মিল্ক-কলোস্ট্রাম (শালদুধ) জন্মের পরপরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে খাওয়ানো শুরু করা। বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি নার্স-ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলবে। শিশু যখন চায় যতক্ষণ চায়—এ নীতি মেনে স্তন্যপান করানো আবশ্যক। এক থেকে তিন ঘণ্টার বিরতিতে নবজাতক বুকের দুধ পান করতে পারে।
প্রস্রাব-পায়খানা : বুকের দুধ ভালোভাবে থাকলে তিন থেকে পাঁচ দিন বয়সে দৈনিক চার থেকে ছয়বার প্রস্রাব করে নবজাতক শিশু। কালো মিগেনিয়াম পায়খানা হতে থাকে প্রথম কয়েক দিন, পরে তিন থেকে চার দিন বয়সে তা সবুজ বর্ণের হয়। বুকের দুধ পানে নির্ভরশীল শিশু দৈনিক তিন থেকে ছয়বার পর্যন্ত পায়খানা করে থাকে।
ঘুম : নবজাতক বয়সে শিশু দৈনিক প্রায় ১৬ ঘণ্টা ঘুমায়, একনাগারে তিন-চার ঘণ্টার ঘুমও দিতে পারে। তবে নবজাতককে প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর ঘুম থেকে জাগিয়ে খাওয়ানো উচিত।
বেড়ে ওঠা : ২০-৩০ সেমি পর্যন্ত উজ্জ্বল বস্ত্রের দিকে তাকায়। শব্দের সন্ধানে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, বিশেষত মায়ের কণ্ঠস্বর শুনে। হাত-পা মুড়িয়ে থাকা। রিফ্লেক্স-স্তনের দিকে মুখ ঘোরানো ও চুষতে পারা। হাতের তালুতে আঙুল রাখলে জোরের সঙ্গে মুঠো করে ধরা।
টিকাদান : টিকা শিশুকে মারাত্মক অসুখ থেকে সুরক্ষা দেয়। হাসপাতালে থাকাকালীন যদি কোনো ঠিকার রুটিনে পড়ে তাহলে অবশ্যই তা দিয়ে দিতে হবে। যেমন : যক্ষ্মা প্রতিরোধী বিসিজি, খাওয়ার পোলিও, হেপাটাইটিস-বি ইত্যাদি। প্রয়োজনে কিছু মারাত্মক অসুখ নির্ণয়ের জন্য শিশুর গোড়ালি থেকে সামান্য রক্ত নিয়ে স্ক্রিনিং টেস্ট করানো হতে পারে। শিশুর গায়ে পোশাক না থাকা অবস্থায় পুরো শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে। সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক আছে কি না দেখতে হবে।
যা মনে রাখবেন : তুলতুলে নরম বিছানার পরিবর্তে শিশুকে শক্ত বিছানায় পিঠের ওপর শোয়ানো ভালো। ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক সহনীয় রাখতে হবে। ঘরে তুষের আগুন-ধোঁয়া জ্বালানো বা ধূমপান নিষিদ্ধ। শিশুকে বেশি মানুষ যাতে না ধরে। সাধারণভাবে নাভি ১০ থেকে ২১ দিনের মাথায় ঝরে যায়। নাভি খোলা ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর